Saturday, September 29, 2018

জ্বরের চিকিৎসা


জ্বর কি ?
জ্বর (যা পাইরেক্সিয়া  নামেও পরিচিত) হচ্ছে শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ, যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬. - ৩৭. °সে (৯৭.৯৯. °ফা) অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে
জেনে রাখা ভালো  :-
         পায়ু পথের তাপমাত্রা ৩৭.৩৮.° সে. (৯৯.১০০.° ফা) বা তার বেশি হলে,
         মুখের তাপমাত্রা ৩৭.° সে. বা তার বেশি হলে,
         বাহু বা কানের তাপমাত্রা ৩৭.° সে. বা তার বেশি হলে, তা জ্বর বলে গণ্য হয়
জ্বর কত প্রকার ও কি কি ?
দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তনের ধরনের উপর নির্ভর করে জ্বরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে,
  • একটানা জ্বর : সারাদিন ধরে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে এবং ২৪  ঘণ্টায় ১0 সে. এর বেশি তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না । যেমন – লোবারনিউমোনিয়া, টাইফয়েড, মূত্রনালির ইনফেকশন, ব্রুসেলসিস, টাইফাস ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে একটানা জ্বর পরিলক্ষিত হয় টাইফয়েড রোগের ক্ষেত্রে জ্বরের একটি নির্দিষ্ট আঙ্গিক দেখা যায় জ্বর ধাপে ধাপে বাড়ে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ থাকে
  • নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বর : জ্বর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়ে এবং পরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায় । যেমন – ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, পাইয়েমিয়া, সেপ্টিসেমিয়া  (রক্তের সংক্রমন) । এর প্রকারভেদ গুলো হল :
1.   কুয়োটিডিয়ান জ্বর,যার পর্যায়কাল হল ২৪ ঘন্টা,সাধারণত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়
2.   টারশিয়ান জ্বর, যার পর্যায়কাল ৪৮ ঘণ্টা, এটিও ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়
3.   কোয়ার্টান জ্বর, যার পর্যায়কাল ৭২ ঘন্টা, এটি দেখা যায় Plasmodium malariae জীবাণুর  ক্ষেত্রে
  • স্বল্প বিরতিতে জ্বর :  শরীরের তাপমাত্রা সারাদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে এবং ২৪ ঘণ্টায় 0 সে.  এর চেয়ে বেশী উঠা নামা করে  যেমন – Infective endocarditis .

জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি ?
জ্বরের সাথে সাধারণত অসুস্থ্ভাব, যেমন অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য, ঘুমঘুম ভাব, শরীরে ব্যাথা, মনযোগ দিতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়

জ্বর হলে কি করণীয় ?
জ্বর যদিও কোন রোগ নয়, এটি কে বড় কোন রোগের লক্ষন বলা যেতে পারে কিন্তু ভাইরাস জনিত জ্বরের ক্ষেত্রে রোগীকে কিছু পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে যেমন – রোগীর শরীর যদি খুব বেশি উতপ্ত থাকে তাহলে তার শরীর কে ঠাণ্ডা রাখার বাবস্থা করতে হবে রোগীর শরীর কে সর্বদা মুছে দিতে হবে যাতে রোগীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে রোগীর হাত এবং পায়ের তলা মুছে দিতে হবে এতে রোগী স্বস্তি অনুভব করবে রোগীকে একটু খোলা জায়গাতে রাখতে হবে যাতে করে রোগী আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় এছাড়াও শরীরে যদি জ্বরের কারণে ব্যথার সৃষ্টি হয় তাহলে ঔষধ হিসেবে প্যারাসিটামল গ্রহণ করা যাবে

জ্বরের জন্য কোন টেস্ট গুলো করা হয় ?
  • রক্তের সাধারণ টেস্ট টি সি, ডি সি, এস আর।
  • রক্তের পরীক্ষা যেমন Widal, Febrile antigen .
  • একুইট পর্যায়ে প্রোটিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
  • পরজীবী, যেমন ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া।
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন যক্ষ্মার জন্য পি সি আর, এফ বি, কালচার সেনসিটিভিটি।
  • ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য এফ এন সি সাইটোলজি, বায়োপসি, লিমফোমা ও লিউকেমিয়া প্যানেল।
জ্বরের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া যেতে পারে ?
  • Azithrocin – 250 Mg
     সকাল রাত (খাবার পরে) … দিন খাবেন
        অবশ্যই সাথে Paracitamol খাবেন অথবা Napa-Extra 500 Mg খেতে পারেন
     সাথে গ্যাসের ঔষধ  Seclo – 20 Mg খাবেন খাবার ৩০ মিনিট আগে খাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

'' শিশুদের যদি রাতে অতিরিক্ত জ্বর আসে এবং চিকিৎসকের কাছে নেয়া আপাতত সম্ভব হচ্ছে না সেক্ষেত্রে প্যারাসিট্যামল সাপোজিটারী ব্যাবহার করতে পারেন। ''


No comments:

Post a Comment